সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে নিয়ন্ত্রণ করুন আপনার উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল -

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। কেননা সুস্থ থাকাটাই আমাদের জীবনের মূল লক্ষ্য। কিন্তু মাঝে মাঝে এই সুস্থ থাকার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কিছু শারীরিক অসুস্থতা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হল উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল। এই উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল আমাদের শরীরে থাকলে হৃদরোগ, স্টোক এবং ডায়াবেটিসের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে। তবে কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বন্ধুরা, আজ আমরা আপনাদের জানাবো কিভাবে সাধারণ কিছু নিয়ম অনুসরণ করে আপনি আপনার উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল  নিয়ন্ত্রণ করবেন। 


বন্ধুরা, কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। এটি আমাদের শরীরে স্নায়ুতন্ত্র, হরমোন উৎপাদন, চর্বি ও নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। তবে সমস্যা তখনই দেখা দেয় যখন এটা রক্তে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত হয়ে যায়। আসুন আজ আমরা জেনে নেই সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে কিভাবে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা যায় -

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া :

ওটমিল, নাশপাতি, আপেল, রাজমা, মটরশুঁটি জাতীয় খাবারে দ্রবণীয় ফাইবার বেশি থাকে, যা শরীরকে কোলেস্টেরল শোষন করা থেকে বিরত রাখে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় দ্রবণীয় ফাইবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। 

আরো পড়ুনঃ জেনে নিন ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ এবং কোন খাবারগুলো পরিহার করতে হবে আপনাকে ইউরিক অ্যাসিড হলে

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা :

ওজন আমাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়,যা ধমনী এবং রক্তনালীতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই যদি আপনার ওজন বেশি হয়ে থাকে তাহলে সবার আগে আপনার ওজন কমাতে হবে। আর স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাতে প্রচুর ফল, সবজি, বাদাম, বীজ প্রভৃতি খেতে হবে।

মদ্যপান না করা :

অ্যালকোহল শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই কোলেস্টেরল কমাতে মদ্যপান ত্যাগ করা জরুরী। 

গ্রিন টি পান করা :

কফির তুলনায় গ্রিন টির মধ্যে ক্যাফেইনের পরিমাণ কম থাকে। এরমধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি শরীরকে সুস্থ রাখে। প্রতিদিন গ্রিন টি পান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। 

আরো পড়ুনঃ জেনে নিন ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে দাঁতের মাড়ি ফোলা দূর করা যায়

শুকনো ফল খাওয়া :

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, শুকনো ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, ফাইবার ও ভিটামিন ই। এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কোলেস্টেরল কমাতে।

নিয়মিত ব্যায়াম করা :

বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যায়াম আমাদের রক্ত সঞ্চালনকে ঠিক রাখে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এজন্য আমাদের প্রত্যেককে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করা জরুরী। এছাড়া জগিং, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো প্রভৃতি আমাদের জন্য উপকারী। 

ধূমপান ত্যাগ করা :

তামাক শরীরের ভালো কোলেস্টেরল তৈরিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে। যা হার্টের জন্য ক্ষতিকর। এক সমীক্ষায় জানা যায়, যারা ধূমপান বন্ধ করেছেন তাদের ভালো কোলেস্টেরল এক বছরে ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

আরো পড়ুনঃ জেনে নিন টমেটোর আবাক করা জাদুকরী গুনাগুন

পর্যাপ্ত পানি পান করা :

পানি আমাদের শরীরের আদ্রতা বজায় রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় জানা যায়, পর্যাপ্ত পানি পান করলে এবং নিয়মিত ডিটক্স করলে শরীর থেকে অন্যান্য বিষাক্ত উপাদানের পাশাপাশি ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বের হয়ে যায়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কমে যায়। 

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমাদের আজকের আলোচনা এ পর্যন্তই। আশা করি উপরোক্ত তথ্যগুলো জেনে আপনারা উপকৃত হবেন। তাই এই পোস্টটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। সবাইকে ধন্যবাদ।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url