শীতে ঠোঁট ফাটা রোধে জেনে নিন কিছু ঘরোয়া টোটকা -

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? সামনেই আসছে আমাদের অনেকেরই পছন্দের শীতকাল। এই গরমে আমরা যখন নাজেহাল হই তখন কিন্তু প্রায় সবারই মনে হয় কবে আসবে শীতকাল। তখন আমরা বলি শীতকালই ভালো। তবে শীতকাল ভালো লাগলেও ভালো লাগেনা শীতকালে ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যাওয়াটা। বিশেষ করে যখন ঠোঁট শুকিয়ে ফেটে যায় এবং ঠোঁট থেকে রক্ত বেরিয়ে আসে তখন এটা বেশ কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে। এই শীতে আপনাদের ঠোঁট যাতে কোমল ও নরম থাকে সেজন্য আজ আমরা নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য কিছু ঘরোয়া টোটকা। তাহলে আসুন বন্ধুরা দেখে নেই ঠোঁট ফাটা বন্ধ করার কিছু ঘরোয়া টোটকা -

শীতে ঠোঁট ফেটে যাওয়া একটি কমন সমস্যা। কারণ এই সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকে, যার ফলে আমাদের ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায় এবং ঠোঁট ফেটে যায়। তবে শীতকালের এই শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার বহু উপায় আমাদের বাড়িতেই রয়েছে। চলুন জেনে নেই সেগুলো কি কি -

মধুর ব্যবহার :

মধু হল খুব ভালো এন্টি-ব্যাকটেরিয়ালজাত পদার্থ যেটা আমরা সবাই জানি। আর ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি আমাদের রুক্ষ শুষ্ক ত্বককে কোমল করতে সাহায্য করে। তাই এই দুটো জিনিস যদি একসঙ্গে ঠোঁটে ব্যবহার করা যায়, তাহলে আপনার ঠোঁট ফাটার সমস্যা চির বিদায় নেবে। আর আপনার ঠোঁট হবে সুন্দর, কোমল ও নরম। এক সপ্তাহ ব্যবহার করলে আপনি এর ম্যাজিক বুঝতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে জবা ফুলের কেরামতি জেনে নিন ২০২৩

নারিকেল তেলের ব্যবহার :

নারিকেল তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের ত্বকের শুষ্কতা দূর করে, ত্বকে করে মসৃন।তাই ঠোঁট ফাটা থেকে বাঁচতে নিয়মিত ঠোঁটে নারিকেল তেল ব্যবহার করুন। এটি আপনার ঠোঁটকে নরম ও কোমল করতে সাহায্য করবে।

গ্লিসারিনের ব্যবহার :

খসখসে ও রুক্ষ ত্বকে আদ্রতা যোগাতে গ্লিসারিন দুর্দান্ত কাজ করে। তাই প্রতিদিন ঠোঁটে গ্লিসারিন লাগালে ঠোঁট ফাটার সমস্যা কখনোই হবে না। এজন্য ১ চা চামচ গ্লিসারিন ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিয়ে বোতলে ভরে রেখে দিন এবং দিনে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করুন। এতে আপনার ঠোঁট ফাটার সমস্যা থাকবে না।

অ্যালোভেরা জেল :

অ্যালোভেরা জেল একটি প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান। এটি আমাদের রুক্ষ শুষ্ক ত্বককে প্রাণবন্ত করে। এতে থাকা মিউকোপলিসৈকরাইডস আমাদের ঠোঁট ফাটা মেরামতে সাহায্য করে। প্রতিদিন রাতে অ্যালোভেরা জেল ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যাবে।

আরো পড়ুনঃ সুপার ফুড্‌ ওটস্‌ এর পুষ্টিগুন ও উপকারিতা

বাদাম তেলের ব্যবহার :

বাদাম তেলে আছে এমোলিয়েন্ট গুণ, যা ত্বককে ভিতর পর্যন্ত আদ্র রাখতে সাহায্য করে। এই তেল ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের শুষ্ক ভাব কমে যায় এবং ঠোঁট থাকে নরম।

ঘি এর ব্যবহার :

এক ফোঁটা ঘি আপনার শুষ্ক ফাটা ঠোঁটকে করতে পারে নরম ও কোমল। তাই ঠোঁট ফাটা রোধে প্রতিদিন এক ফোটা ঘি আপনার ঠোঁটে মালিশ করুন। কয়েকদিন ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন এর কার্যকরী গুন।

অলিভ অয়েলের ব্যবহার :

অলিভ অয়েল হচ্ছে প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ এবং ই। পাশাপাশি এই তেলে রয়েছে ভিটামিন ডি এবং কে,যা আমাদের ত্বককে সর্বোচ্চ রক্ষা করে। অলিভ অয়েলে রয়েছে ফ্যাটি এসিড, যা আমাদের ঠোঁট ফাটা ঠেকায়। দিনে কম করে হলেও দুইবার ঠোঁটে অলিভ অয়েল মাখলে ঠোঁট নরম ও মসৃণ হবে।

আরো পড়ুনঃ জেনে নিন খালি পেটে মেথি খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আশা করি এই শীতে আপনারা এই ঘরোয়া টিপসগুলো মেনে থাকবেন সতেজ ও প্রাণবন্ত। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। সবাইকে ধন্যবাদ।

আর্টিকেল রাইটারঃ প্রিয়াংকা কুণ্ডু

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url