ভাদ্র মাসে বাঙালির প্রিয় তালের বড়া

প্রিয় বন্ধুরা দেখতে দেখতে চলে এলো বাংলা মাসের আরো একটি মাস " ভাদ্র "। ভাদ্র মাসকে বলা হয় তাল পাকা ভাদ্র। কেননা ভাদ্র মাস মানেই পাকা তালের মৌসুম। সারা বছর বাজারে বিভিন্ন  ফল পাওয়া গেলেও তাল পাওয়া যায় কেবল ভাদ্র মাসেই।  ভাদ্র মাস এলেই বাংলার ঘরে ঘরে তালের রস দিয়ে তৈরি  বিভিন্ন খাবারের উৎসব শুরু হয়ে যায়। তবে তালের  রস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবারের মধ্যে তালের বড়া বাঙালির  খুব প্রিয়।

তালের বড়া

তালের মৌসুমে পাকা তালের সুন্দর গন্ধ এবং এর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতার জন্য বাঙ্গালীদের খাবারের তালিকা এটি খুবই পছন্দনীয়। তাই আজকে আমরা আপনাদের তালের রস দিয়ে তৈরি মজাদার তালের বড়ার রেসিপি জানাবো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মজাদার তালের বড়ার রেসিপিটি।

তালের পুষ্টিগুণ :

তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি,সি,জিংক,পটাশিয়াম,আয়রন,ক্যালসিয়াম সহ আরো অনেক খনিজ উপাদান। এর সঙ্গে আরও আছে অ্যান্টি-অক্সিজেন ও আন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। 

 আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফল কি সত্যিই উপকারী

তালের উপকারিতা :

১.তালে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আছে, যা দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে।

২.তাল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুন সমৃদ্ধ  হওয়ায় ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম।

৩.লিভার সুরক্ষায় তালের শাঁসের ভূমিকা রয়েছে। তালের শাঁস লিভারের সমস্যার দূর করতে সাহায্য করে

৪.তালে আছে ভিটামিন বি।তাই তাল ভিটামিন বি এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

৫.কোষ্ঠকাঠিন্য ও তন্ত্রের রোগ ভালো করতে তাল সহায়তা করে।

৬.বাতের ব্যথা দূর করতে তালের রস বেশ উপকারী। যদি আপনি প্রতিদিন ১০০ গ্রাম তালের রস কোন চিনি ও পানি না মিশিয়ে খান তাহলে আপনার বাতের ব্যথা ধীরে ধীরে অনেক অংশে উপশম হবে।

৭.স্বাস্থ্য রক্ষায় ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও তাল বেশ উপকারী।

৮.অনেকের বুক ধড়পড়ের সমস্যা আছে। তারা যদি কয়েকদিন সকালে ও বিকালে ৩ থেকে ৪ চামচ তালের রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খায় তাহলে তাদের বুক ধড়পড়ের সমস্যা কমে যাবে।

 আরো পড়ুনঃ পুডিং বানানোর নিয়ম

তালের বড়া তৈরি রেসিপি :

উপকরণ -

১.তালের রস - ৩ কাপ

২.ময়দা - ১কাপ

৩.চালের গুড়া - ১ কাপ

৪.সুজি - ১/২ কাপ

৫.নারকেল কোরা - ১ কাপ

৬.গুড়া দুধ - ১/২ কাপ

৭.চিনি - ২ কাপ

৮.বেকিং পাউডার - ১/২ চা চামচ

৯.লবণ - সামান্য

১০.তেল - পরিমাণ মতো।

প্রস্তুত প্রণালী -

১. প্রথমে এক কাপ সুজি একটি পাত্রে পরিমাণ মতো জল দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ভিজিয়ে রাখতে হবে।

২.এবারে অন্য একটি পাত্রের তালের রস, ময়দা, চালের গুড়া, চিনি, গুড়া দুধ, নারিকেল কোরা, লবন ও বেকিং পাউডার একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি যদি বেশি আঠালো হয় তবে সামান্য পানি দিতে হবে। ভালোভাবে মিশ্রণটি তৈরি করার পরে আধাঘন্টা ঢেকে রাখতে হবে।

৩.তালে মিশনের সাথে এবার ভেজানো সুজি টুকু  দিয়ে দিতে হবে এবং আবার ভালোভাবে সব একসাথে মেশাতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ  বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

৪.এখন একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে তালের মিশ্রণটি বড়ার আকারে দিয়ে ভেজে নিতে হবে। বড়া গুলো বেশ খয়েরী রঙের হলে নামিয়ে নিতে হবে।তৈরি হয়ে গেলো মজাদার তালের বড়া।

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, দেখলেন তো কতো সহজেই তৈরি করা যায় মজাদার সুস্বাদু তালের বড়া। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মতো শেষ করছি, ধন্যবাদ।

আর্টিকেল রাইটার - প্রিয়াংকা কুন্ডু

 

 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url