বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে প্রত্যেকেরই ধারণা এবং প্রত্যেকের এই আগ্রহ রয়েছে। এই সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই যথাযথ জ্ঞান থাকা দরকার। একটি বাচ্চা শুধু একটি বাচ্চা নয়, একটি বাচ্চা হচ্ছে বাড়ির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তাই এই বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার বিষয়ে আমাদের যথাযথ জ্ঞান এবং সতর্কতা দরকার।
দম্পতি বা বিবাহের পর একজন দম্পতি বাচ্চার আশা করবে এটি স্বাভাবিক বিষয়। একটি বাচ্চা একটি সেতুবন্ধন এর কাজ করে। আবার একটি বাচ্চা বংশের প্রদীপ বা বংশ-পরম্পরা ধরে রাখার ক্ষেত্রে কাজে করে একটি বাচ্চার সাথে একটি আয়না একটি বাচ্চা হচ্ছে অনেক মানুষের জীবনে বেঁচে থাকার অবলম্বন।
সন্তান হচ্ছে একটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বেঁচে থাকার অবলম্বন। একটি সম্পর্কের সেতুবন্ধন। সন্তান ছাড়া স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা অপূর্ণ থেকে যায়। সন্তানের আগমন একটি পরিবারে অনেক বড় রকমের ভূমিকা পালন করে। আবার সন্তানের যদি আগমন না ঘটে একটি পরিবারে অনেক অশান্তির সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুনঃ জেনে নিন ব্যাক পেইন বা পিঠ ব্যাথার কারণ সমূহ
বাচ্চা না হলে যে শুধু একটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমস্যা হয় এটা ভুল কথা একটি সমাজে ব্যাপারটিকে ভাল নজরে দেখেনা নানান রকমের প্রশ্ন উত্থাপন করে। আরে বাচ্চা না হওয়ার স র ধারণ করেছে এই সমস্যাকে মানব সৃষ্ট সহ কিছুটা প্রাকৃতিক ভাবে হয়।
বাচ্চা না হওয়া কে কি বলে
আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা রয়েছে বাচ্চা না হওয়ার বিষয়টি। একটি পরিবার বা একটি দম্পতি যখন বাচ্চা ধারণ করতে সক্ষম হয় তখন সমাজ বায়টিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় তাকে বন্ধা বলা হয়। তাই একটি দম্পতি যদি বাচ্চা না হয় সে ক্ষেত্রে দম্পতিকে বন্ধ্যা দম্পতি হিসেবে গণ্য করা হয়।
বন্ধ্যাত্ব কি
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় কোনো দম্পতি বা কোন বিবাহিত নারী পুরুষ যদি দুই বছরের অধিক সময় নিজেদের যথেষ্ট চেষ্টার পরেও সন্তান ধারণ করতে অক্ষম হয় তখন সেই সমস্যাকে বলা হবে বন্ধ্যাত্ব তা। বন্ধ্যাত্ব এই সমস্যাটি যে শুধু নারীদের হয় এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা নারী-পুরুষ উভয়েরই এবং তাতে সমস্যাটা হতে পারে এই সমস্যার জন্য কখনোই আমরা নারীদেরকে বা নির্দিষ্ট কোন মানুষকে দায়ী করতে পারবো না যতক্ষণ না এটি পরীক্ষিত হচ্ছে।
বাচ্চা না হওয়ার কারণ
বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আমরা ওপরে অনেককে কিছু জানার চেষ্টা করেছি। আমাদের অবশ্যই জানতে হবে বাচ্চা না হওয়ার কারণ গুলো কি। এই বাচ্চা না হওয়ার কারণ যদি আমরা না জানি না হলে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারব না। নিম্নে কিছু বাচ্চা না হওয়ার কারণ আলোচনা করা হলোঃ
অপ্রাপ্তবয়স্কঃ অপ্রাপ্ত বয়সে মেয়েদের বাচ্চা ধারণ ক্ষমতা কম থাকে। সচরাচর একজন মেয়ে পরিপক্কতা অর্জন এর পূর্বে যদি বিবাহ হয় এবং বাচ্চা ধারণ করার চেষ্টা করে তাহলে কোন ভাবে তার বাচ্চা হবে না কারণ সে পুরোপুরি অপরিপক্ক। আর এই অপ্রাপ্তবয়স্ক হচ্ছে বাচ্চা না হওয়ার একটি কারণ।
আরো পড়ুনঃ দূর করুন ঘরোয়া উপায়ে মাথার বিরক্তিকর উকুন
বয়স বেশি হলেঃ মাঝে মাঝে বয়স বেশি হলেও বাচ্চা ধারণ করার ক্ষমতা অনেক কমে যায় তখন অনেক চেষ্টা করার পরও বাচ্চা ধারণ করতে পারে না নারীরা। এটা শুধু নারীদের ক্ষেত্রে হয়না এটা মাঝে মাঝে পুরুষের ক্ষেত্রেও হয় কারণ তাদের দৈহিক সকল উৎপাদন কম হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে বয়স বেশি হলে অনেক ধরনের সমস্যা হয় তার বাচ্চা না হওয়ার কারণটা কিছুটা বয়স বেশি হওয়ার উপায়।
পলিসাইট ওভারিয়ান সিনড্রোমঃ এই সমস্যা থাকলেও মাছের বাচ্চা ধারণ করতে অক্ষম হয় নারীরা এর ফলে নানা রকমের ইনফেকশন সৃষ্টি হয়। বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার গুলোর মধ্যে এই ইনফেকশন সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে এটি ইনফেকশন হলে যথাযথ চিকিৎসা নিতে হবে।
থাইরয়েড সমস্যাঃ থাইরয়েড সমস্যা বলতে এটি কিছুটা হরমোনের কম বেশি হলে থাইরয়েড সমস্যা হয়। থাইরয়েড সমস্যার ফলে গলার আকৃতি বা গলা ফোলা বা গলা মোটার জাতীয় সমস্যা হয়। আর যখন একটি মানুষের হরমোন কম বেশি হয় সে ক্ষেত্রে বাচ্চা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাচ্চা ধারণ ক্ষমতা বিষয় এটি একটি বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। থাইরয়েড সমস্যা একটি বড় রকমের সমস্যা এটি বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার গুলোর মধ্যে অন্যতম।
আরো পড়ুনঃ এই শীতে ঝটপট তৈরি করুণ মজাদার সবজি খিচুড়ি
ডিম্বনালীতে সমস্যাঃ বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে ধারণা নিতে হলে প্রথমে জানতে হবে ডিম্বনালী সমস্যাটা কি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিম্বনালীতে সমস্যা সৃষ্টি হয় মানবদেহের যেসব প্রজননতন্ত্র রয়েছে জরায়ু বা দুই পাশে ডিম্বনালী এনেছে মাসিকের রাস্তা বা যোনিপথে যদি কারো কোন সমস্যা থাকে বা কোন ধরনের ইনফেকশন থাকে সে ক্ষেত্রে বাচ্চা উৎপাদন ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় আর এটি বাচ্চা না হওয়ার একটি বড় রকমের কারণ।
যোনিপথ বাঁকা বা কোন ধরনের বাধাঃ সচরাচর যৌনিপথের কোন ধরনের পর্দা যদি থাকে আবার সেটি যদি বাঁকা হয় বা যাতায়াত রাস্তায় যদি একা হয় সেক্ষেত্রে স্পার্ম জরায়ুতে প্রবেশ করতে পারে না আর ঠিক তখনই বাচ্চা ধারণ করার জন্য যাবতীয় সকল কার্যক্রম শুরু হয় না। বাচ্চা না হওয়ার একটি কারণ। বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই সমস্যাটি সমস্যাটি অনেকের মধ্যেই থাকে।
প্রজননতন্ত্রের সমস্যাঃ কিছু কিছু মানুষের প্রজনন তন্ত্রের সমস্যা থাকে সেখানে নানা রকমের ইনফেকশন বাঘা এরকম নানা রকম জিনিস এর সময় যদি থাকে সেক্ষেত্রে বাচ্চা ধারণ করতে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হয় আর এটি বাচ্চা না হওয়ার কারন গুলোর মধ্যে অন্যতম।
ক্যান্সারঃ ক্যান্সার সম্পর্কে প্রত্যেকেই ধারণা রাখতে হবে। বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার এগুলো জানতে গেলে অবশ্যই ক্যান্সার সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে কারেন্ট ক্যান্সার অনেক বড় রকমের একটি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যদি কোনো মানুষের ক্যান্সার থাকে আর কন্টিনিউ ক্যান্সার ট্রিটমেন্ট হয় সেই ক্ষেত্রে বাচ্চা না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
হরমোনের কম বেশিঃ মাঝে মাঝে কিছু কিছু মানুষের হরমোন উৎপাদন বেশি হয় ঠিক যেইরকম ইনসুলিনের অভাবে ডায়াবেটিস রোগ হয় বা ইনসুলিনের কম বেশি হওয়ার ফলে যে রকম মানুষের রক্তের সমস্যাটি সৃষ্টি হয় ঠিক সেরকম ভাবেই হরমোনের জন্য বাঁধনের ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই হরমোনের কম বেশি একটি বড় ভূমিকা পালন করে বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার করতে।
সতর্কতাঃ
কোন ধরনের সমস্যা আবার কোন ধরনের শারীরিক কোনো প্রবলেম সৃষ্টি হলে আমাদের আমাদের সেই প্রতিকার সম্পর্কে যথাযথ ধারণা রাখতে হবে। একটি সন্তান একটি সম্পর্কের মধ্যে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে সন্তান ছাড়া কখনোই একটি পরিবার বা একটি সংসার পূর্ণতা পায় না। তাই বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আমাদের যথাযথ ধারণা রাখতে হবে কারণ এটি বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকটি পরিবারেই ধরা পড়ছে।
প্রতিকার
আমাদের দেহে কোন প্রবলেম হলে আমাদের সরাসরি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আমাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে কারণ বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক উন্নত চিকিৎসা বিজ্ঞান উন্নত হওয়ার ফলে আমরা খুব সহজেই যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে সমাধান করতে পারছি।
তাই আমাদের থাইরয়েড সমস্যা হোক বা আমাদের ক্যান্সার হোক বা আমাদের দেহের প্রজননতন্ত্রের সাথে কোন ধরনের সমস্যা হোক আমাদের সেগুলো ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং দ্রুত করতে হবে তা না হলে সমস্যাটি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান নাও হতে পারে তাই সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
উপসংহার
উপরিউক্ত আলোচনার ক্ষেত্রে অবশ্যই জানতে পেরেছি বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।আমাদের প্রত্যেকেই এই বিষয়ে নজর রাখতে হবে। এখন প্রায় 1000 দম্পতির মধ্যে 10 জন দম্পতির বাচ্চা না হওয়ার জন্য ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে এবং জরিপে ধরা পড়েছে। বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের জন্য ধারণা রাখতে হবে যাতে আমরা যথাযথ সময়ে এর চিকিৎসা করতে পারি এবং সকল ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারি।22042