বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন - বজ্রপাত নিয়ে কবিতা
আপনি কি বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন এবং বজ্রপাত নিয়ে কবিতা পড়তে অথবা জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমি বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন ও বজ্রপাত নিয়ে কবিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাই বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন ও বজ্রপাত নিয়ে কবিতা দেখতে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন ও বজ্রপাত নিয়ে কবিতা সহ আরো অন্যান্য বিষয়ে আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করবো। তাই দেরি না করে বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন ও বজ্রপাত নিয়ে কবিতা দেখতে ও জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
বজ্রপাত নিয়ে কথা
আকাশে পানি চক্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চমকানোর প্রক্রিয়াটি শুরু হয়। যখন আকাশে প্রচুর পরিমাণে মেঘ জমে তখন জলীয়বাষ্প গুলো বেশি পরিমাণে ঠান্ডা হয়ে বরফে পরিণত হয় এবং এগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ ধরনের সংঘর্ষের ফলে ইলেকট্রিক চার্জ উৎপন্ন হয়। এভাবে চার্জের উৎপত্তি হতে হতে মেঘের ওই পুরো এলাকাজুড়ে ইলেকট্রিক চার্জ পরিপূর্ণ হয়।
এই মেঘ গুলোর উপরে থাকে পজেটিভ চার্জ এবং নিচে নেগেটিভ চার্জ। বিপরীত ধর্মী চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে বলে মেঘের নীচে নেগেটিভ চার্জ ভূপৃষ্ঠে বিদ্যমান পজিটিভ চার্জ এর দিকে আসতে চাই। তাই যখনই কোন পাহাড়-পর্বত মানুষ বা গাছের কাছাকাছি আসে তখন তার দিকে ছুটে যায়। আর ঠিক এভাবেই বিদ্যুৎ চমকিয়ে বজ্রপাতের সৃষ্টি হয়।
আশা করি এই সেকশনটি পাঠ করে আপনি বজ্রপাত কিভাবে হয় সে সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। এখন আমি আপনাদের যে বিষয় নিয়ে জানাবো তা হচ্ছে বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন। তাহলে চলুন দেরী না করে বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন দেখে নিন।
বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন
নিচে আপনাদের জন্য কিছু বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন দেওয়া হলো-
- একান্নটি খন্ড যখন জ্যেৎস্না দিলো জুড়েএকফালি মেঘ খবর দিয়ে গেলো কোথায় উড়েযে সতীরে খুঁজলি রে মন সারা দিবস জুড়েসে
তোর বুকেতেই রাখলো মাথা নিবিড় আঁধারে৷
- বজ্রপাত শুধু মেঘে মেঘে নয়চোখে চোখ পড়লেও হয়।মেঘের বজ্রপাতে প্রবল শব্দে আকাশ কেঁপে উঠে!
চোখের বজ্রপাতে নিঃশব্দে কেঁপে ওঠে মন।
- তোমার হাতের ছোয়ায় আগুন ছিল
দুনয়নে বজ্রপাত
মায়া দৃষ্টিতে মাতাল হয়ে
আজ নির্ঘুমেতেই কাটছে রাত
আরও পড়ুনঃনীলফামারী জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
- বৃষ্টি বেশে মেঘের দেশে
ঝরবে ঝিম ঝিম স্বপ্নেরা
ক্লান্ত মনে ছুটির টানে
বৃষ্টি মানেই ঘরে ফেরা
- তোমার গ্রামের মেঘেরা
আমার পাড়ায় এসে
বৃষ্টি হয়ে ঝরে
তুমি রাখো কি সেই খবর?
বজ্রপাত নিয়ে কবিতা
উপরের অংশে আমরা বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন দেখলাম। বজ্রপাত হচ্ছে প্রাকৃতিক একটি দুর্যোগ। যদিও এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ তার পরেও এই দুর্যোগকে মানুষের জীবনের কষ্টের সাথে তুলনা করে অনেকে অনেক কবিতা লিখেছেন। তাই চলুন কিছু বজ্রপাত নিয়ে কবিতা দেখে নিন।
একটি বজ্রপাত যেন
উজাবি গৈছিল
আপন সম্পর্ক
সেই তপত বজ্র তীখাই যেন
চারখার করিছিল আমার বন্ধুত্ব
আছিল সেই কোনোবা এদিনব অমানিশা
ভাঙ্গি গৈছিল এনাজবী
নামি আহিছিল অসভ্য অনূভূতি
সময়ব স্মৃতিত হেবাইছিল জীবনের নাওখানি,
আজুবিছিল মোর কোমল বুকুখানি।
"বজ্রপাত"
আলো মগ্ন কাঁচাঘর থেকে তুমি
ভাসমান চুম্বন বাতাসে দাও ছড়িয়ে
মাটির পৃথিবীতে তখন
প্রেম উদযাপনের হুড়োহুড়ি,
চোখ কচলিয়ে শহর দ্যাখে শিলাবৃষ্টি
ডানা ঝাপটায় সাদা পরি।
আমি পিছোতে পিছোতে আরো নিরালয়
মাথার উপর বড়োসড়ো বৃক্ষ ধরি
হঠাৎ হঠাৎ বিদ্যুৎ চমক...
বজ্রপাতে যদি মরি!
--এম.এ.রশ্মি
অচিরেই একটা ঝড় নামাবো মনের আকাশে,
কাল মেঘে ঢেকে দেব পুরো আকাশ,
ভয় নেই আমি তোমার কাছে ঝড় হয়ে আসছি না,
আমিতো তোমার কাছে আসছি ঝড়ের অন্ধকারের মাঝে
এক চিলতি বিদ্যুৎ চমকানোর আলো নিয়ে।
কিভাবে তোমায় অন্ধকার দেব বল??
তুমিই তো আমার আকাশে রংধনু এনে দিলে।
আমার আকাশটা ছিল রংহীন।
না খুজে পেতাম লাল, না খুজে পেতাম নীল।
রংধনুর নাকি সাতটি রং!!!!
শুনেছিলাম কিন্তু দেখেছিলাম না কখনো,
কিন্তু তুমি আমার আকাশকে রংধনু দিয়ে সাজিয়ে আমায়
দেখিয়ে দিলে কোনটা আসমানি আর কোনটা হলুদ।
আমি নয়ন ভরে দেখতে থাকলাম আকাশের রংগুলিকে,
বুঝতে শিখলাম কোন রং এর চেয়ে কোনটা লোকের প্রিয় হয়।
কিন্তু এই ভাবেই কি জীবন যাবে??
থামিয়ে দিলাম রংধনুর পালা বদলের খেলা,
কেননা মেঘহীন আকাশে সবাই ভালবাসে
কিন্তু মেঘযুক্ত আকাশ....?
যদি সে কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন একটা আকাশ হয়।
যদি রংধনুরা সেই আকাশে খেলা না করে? তাহলে,,,,,,!!!
তাইতো আজ আমার আকাশে আমি নিজেই মেঘ জমিয়েছি,
অন্ধকারে ঢেকে দিয়েছি পুরো আকাশটাকে,
শুধু ভালবাসাকে চিনতে,,,
আপন ভালবাসাকে জানতে,,,
নিজের ভালবাসারর প্রতি যে আস্থা তা পরিক্ষা করার জন্যে।
জানিনা তুমি কি ভালবেসেছ,,,
আকাশকে নাকি আকাশের রংধনুকে।
যদি আকাশকে ভালবাসতে
তাহলে আকাশের মেঘ দেখে
এমন করে মন খারাপ করে বসে থাকতে না।
তুমিযে আকাশকে নয় আকাশের রংধনুকে ভালবেসেছো।
তাইতো ভয় করছে তোমার,
যদি আকাশকে ভালবাসতে তাহলে
এটাও জানতে যে আকাশে কেবল রংধনু থাকে না।
সাত রং এর আড়ালে লুকিয়ে থাকে কালো একটা রং।
যেটাকে তুমি মেঘ বলে ভয় করছ,
তাইতো ঝড় নামাবার আগেই বুঝে গেলাম তোমার ভালবাসা,
আমার আকাশটা কালো অন্ধকারেই থেকে গেল,
ঝড় হয়ে ঝরে পরিষ্কার আলোর দেখা পেল না।
যদি কখনো মনে হয় তুমি আকাশকে ভালবাসতে পেরেছো
সেদিন নিরবে বলবে আমায়।
বজ্রপাত নিয়ে হাদিস
বিদ্যুৎ চমকানোর সময় যেকোনো ধরণের অর্থাৎ বর্জপাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে আপনি যেখানেই থাকুন না কেন এই দোয়াটি পড়বেন। "আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা-ফিহা ওয়া খাইরা মা-উরসিলাত বিহি, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা-ফিহা ওয়া শাররি মা-উরসিলাত বিহি।"মনে রাখবেন আল্লাহ যদি আপনাকে রক্ষা করে তাহলে আপনার কোনো ক্ষতিই হবে না।
বজ্রধ্বনি ও ফিরিশতাগণ সভয়ে তাঁর সপ্রশংস মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি বজ্রসমূহ প্রেরণ করেন এবং যাকে ইচ্ছা তা দ্বারা আঘাত করেন। ওরা আল্লাহ সম্বন্ধে বিতন্ডা করে; আর তিনি মহাশক্তিশালী।আর রা'দ।
বজ্রপাত নিয়ে মজার কথা
"অনেকদিন পর আজ বৃষ্টিতে ভিজলাম,
তবে খুব ভয় হচ্ছিল।
না এই ভয় বজ্রপাতে মরে যাবার ভয় না,
বৃষ্টিতে ভিজলে আবার সরকারকে
কোন ভ্যাট দিতে হয় নাকি সেই ভয়।"
"বড় হয়ে যেটাকে বজ্রপাত বুঝি,
ছোট বেলায় সেটাকে উপর থেকে লাইট মারা বুঝতাম।"
বজ্রপাত নিয়ে উক্তি
বজ্রপাতে নিয়ে উক্তি উল্লেখ করা হলো-
- "প্রকৃতির সমস্ত জিনিসে কোন না কোন আশ্চর্যজনক কিছু আছে"-এরিস্টটল।
- "প্রকৃতি এখনো আমাদের কাছে যা প্রকাশ করে তার এক শতাংশের এক হাজার ভাগ আমরা এখনো জানিনা"-আলবার্ট আইনস্টাইন"।
- "বজ্রপাত এমন এক ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা মানুষের জন্য খুব ভয়ের এবং আতঙ্কের।"
বজ্রপাত নিয়ে কিছু কথা
বজ্রপাত হচ্ছে এক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। আকাশে মেঘ জমে তখন হঠাৎ আমরা আকাশে আলোর ঝলকানি দেখতে পাই, এই আলোকে আমরা বলে থাকি বিদ্যুৎ চমকানো বা বিজলী চমকানো। এই বিদ্যুৎ চমকানোর পরপরই বজ্রপাতের সৃষ্টি হয়। মেঘ গুলোর উপরে থাকে পজেটিভ চার্জ এবং নিচে নেগেটিভ চার্জ। বিপরীত ধর্মী চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে বলে মেঘের নীচে নেগেটিভ চার্জ ভূপৃষ্ঠে বিদ্যমান পজিটিভ চার্জ এর দিকে আসতে চাই। তাই যখনই কোন পাহাড়-পর্বত মানুষ বা গাছের কাছাকাছি আসে তখন তার দিকে ছুটে যায়। আর ঠিক এভাবেই বিদ্যুৎ চমকিয়ে বজ্রপাতের সৃষ্টি হয়।