বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে
বজ্রপাত হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে এ সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমি আলোচনা করব বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে এই সম্পর্কে। তাই বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আপনি যদি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে সে সম্পর্কে ধাপে ধাপে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে তা জেনে নিন।
বজ্রপাতে মৃত্যু ইসলাম কি বলে
বজ্রপাতে মৃত্যু ইসলাম কি বলে এসম্পর্কে মুসলিম হয়ে আমাদের অবশ্যই জ্ঞান থাকা জরুরি। অনেকের মনেই এ ধরনের প্রশ্ন জেগে ওঠে যে বজ্রপাতে মৃত্যু হলে তারা কি সরাসরি জান্নাতি হবে? আবার এধরনের প্রশ্নের উদয় হয় যে বজ্রপাতে যাদের মৃত্যু হবে তা কি শহীদের মর্যাদা পাবে? এসব বিষয় সম্পর্কে জেনে নিন।
আমাদের হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী ছাড়াও আরও সাত ধরনের ব্যক্তিরা শহীদের মর্যাদা পাবেন। তারা হচ্ছেন-মহামারীতে মৃত(মুমিন) ব্যক্তি, পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তি, যেসব গর্ভধারী মেয়ের পেটে বাচ্চা মারা যায় এবং সে কারণে মাও মারা যায়(যাতুল জাম্ব রোগে মৃত), পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি, আগুনে পুড়ে মৃত ব্যক্তি, ধ্বসে চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তি, গর্ভাবস্থায় মৃত মহিলা(আবু দাউদ ৩১১১/মিশকাত ১৫৬১)।
আরও পড়ুনঃ বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
এই সাত ধরনের মৃত্যুর মধ্যে বজ্রপাতে পুড়ে মারা যাওয়া এক ধরনের মধ্যে পড়ে। পুড়ে মারা গেলে সে শহীদের মর্যাদা পাবে ইনশাআল্লাহ। আশাকরি বজ্রপাতে মৃত্যু ইসলাম কি বলে সে সম্পর্কে আপনার মোটামুটি ধারণা হয়েছে। এখন চলুন বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া দেখে নিই।
বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া
বিদ্যুৎ চমকানোর সময় যেকোনো ধরণের অর্থাৎ বর্জপাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে আপনি যেখানেই থাকুন না কেন এই দোয়াটি পড়বেন। "আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা-ফিহা ওয়া খাইরা মা-উরসিলাত বিহি, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা-ফিহা ওয়া শাররি মা-উরসিলাত বিহি।"মনে রাখবেন আল্লাহ যদি আপনাকে রক্ষা করে তাহলে আপনার কোনো ক্ষতিই হবে না।
এই দোয়াটি বিদ্যুৎ চমকানোর সময় পাঠ করতে থাকলে আল্লাহ তাআলা আপনার সহায় হবেন এবং বজ্রপাতে আপনার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। তাই যখনই দেখবেন বজ্রপাত সৃষ্টির মতো বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে তখন এই দোয়াটি বেশি বেশি পড়বেন। আশা করি বুঝতে পেরেছন। চলন এখন আমরা বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে তা জেনে নিই।
বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে
আকাশে পানি চক্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চমকানোর প্রক্রিয়াটি শুরু হয়। যখন আকাশে প্রচুর পরিমাণে মেঘ জমে তখন জলীয়বাষ্প গুলো বেশি পরিমাণে ঠান্ডা হয়ে বরফে পরিণত হয় এবং এগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ ধরনের সংঘর্ষের ফলে ইলেকট্রিক চার্জ উৎপন্ন হয়। এভাবে চার্জের উৎপত্তি হতে হতে মেঘের ওই পুরো এলাকাজুড়ে ইলেকট্রিক চার্জ পরিপূর্ণ হয়।
আরও পড়ুনঃ ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা
এই মেঘ গুলোর উপরে থাকে পজেটিভ চার্জ এবং নিচে নেগেটিভ চার্জ। বিপরীত ধর্মী চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে বলে মেঘের নীচে নেগেটিভ চার্জ ভূপৃষ্ঠে বিদ্যমান পজিটিভ চার্জ এর দিকে আসতে চাই। তাই যখনই কোন পাহাড়-পর্বত মানুষ বা গাছের কাছাকাছি আসে তখন তার দিকে ছুটে যায়। আর ঠিক এভাবেই বিদ্যুৎ চমকিয়ে বজ্রপাতের সৃষ্টি হয়।
বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে এই সম্পর্কে পবিত্র কোরআন শরীফে বলা হয়েছে যে বজ্রপাত হচ্ছে আল্লাহ তাআলার শক্তিগুলোর মধ্যে একটি নিদর্শন। আল্লাহ তাআলা বান্দার কাছে সাবধান করার জন্য রেখে দিয়েছেন। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা চাইলেই কাউকে শাস্তি দিতে পারেন। তবে আল্লাহ তাআলা পরম করুণাময় বলে আমাদের রক্ষা করেন।
বজ্র সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন,"বজ্র তারই তাসবিহ ও হামদ জ্ঞাপন করে এবং তার ভয়ে ফেরেশতারাও (তাসবিহরত রয়েছে)। তিনিই গর্জমান বিজলি পাঠান, তারপর যার ওপর ইচ্ছা একে বিপদরূপে পতিত করেন। আর তাদের (অর্থাৎ কাফিরদের) অবস্থা এই যে তারা আল্লাহ সম্পর্কেই তর্কবিতর্ক করছে, অথচ তার শক্তি অতি প্রচণ্ড।"(সূরা রা'দ আয়াত নাম্বার ১৩)
আশাকরি বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে তা এই সেকশন পাঠ করে আপনি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন। বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে সে সম্পর্কে আমরা জানলাম এখন চলুন বজ্রপাত হলে আমাদের করনীয় কি সে সম্পর্কে কিছু জেনে নিন।
বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে করনীয়
বিদ্যুৎ চমকানোর সময় যেকোনো ধরণের অর্থাৎ বর্জপাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে আপনি যেখানেই থাকুন না কেন এই দোয়াটি পড়বেন। "আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা-ফিহা ওয়া খাইরা মা-উরসিলাত বিহি, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা-ফিহা ওয়া শাররি মা-উরসিলাত বিহি।"মনে রাখবেন আল্লাহ যদি আপনাকে রক্ষা করে তাহলে আপনার কোনো ক্ষতিই হবে না।
এই দোয়াটি বিদ্যুৎ চমকানোর সময় পাঠ করতে থাকলে আল্লাহ তাআলা আপনার সহায় হবেন এবং বজ্রপাতে আপনার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। এছাড়াও বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে আপনাকে সাবধান হতে হবে। বিদ্যুৎ চমকানোর সময় সবসময় নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে সেখানে অবস্থান করতে হবে।
বিদ্যুৎ চমকানোর সময় কোন ধাতব পদার্থ স্পর্শ করে অবস্থান করা যাবে না, সকল ধরনের ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলো বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হবে। আপনি যদি বাইরে থাকেন তাহলে ফাঁকা স্থানে অবস্থান না করে এমন কোথাও যান যেখানে কোনো অবকাঠামো রয়েছে তবে আপনি গাড়ির মধ্যে কখনোই আশ্রয় নেবেন না। বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে থাকুন। এ ধরনের সাবধানতা মূলক কাজগুলো করলে আপনি অবশ্যই বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আশা করি আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়েছেন এবং বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে সে সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা পেয়েছেন। বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে ছাড়াও বজ্রপাতের সময় আপনার করনীয় কি, বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন। এসব বিষয়ে আপনার কোন মতামত থাকলে কমেন্টে জানিয়ে দিবেন এবং এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল আরও পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি কে ফলো করবেন,ধন্যবাদ।